সিরিয়ায় ইরানি দূতাবাসে ইসরায়েলি হামলার জবাবে ইরানের সম্ভাব্য হামলার হুমকিতে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে উচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ওই অঞ্চলে ইসরায়েলি অথবা আমেরিকান ঘাঁটি ও সামরিক স্থাপনায় ইরানের হামলার আশঙ্কায় প্রস্তুতি নিতেও শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার মার্কিন এক কর্মকর্তা এই তথ্য জানিয়েছেন বলে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
এর আগে, সোমবার সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেট ভবনে যুদ্ধবিমান থেকে বোমা হামলা চালায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। এই হামলায় ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর শীর্ষ একজন কমান্ডার ও তার ডেপুটিসহ অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছেন।
ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, সোমবারের হামলায় ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডস কোরের (আইআরজিসি) অভিজাত শাখা কুদস ফোর্সের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ রেজা জাহেদি ও তার ডেপুটি জেনারেল মোহাম্মদ হাদি হাজি রাহিমি নিহত হয়েছেন।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকারবিষয়ক পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস বলেছে, ইসরায়েলি ওই হামলায় আট ইরানি, দুই সিরিয়ান এবং একজন লেবানিজসহ মোট ১১ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের সবাই যোদ্ধা।
পৃথক এক বিবৃতিতে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি বলেছেন, ইরানের প্রতিক্রিয়া জানানোর অধিকার রয়েছে। আর এই প্রতিক্রিয়ার ধরন ও হামলার শাস্তি সম্পর্কে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে তেহরান।
এদিকে, ইরানের হামলার হুমকির পর বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ‘‘তখন থেকেই আমাদের দলগুলো নিয়মিত ও নিরবচ্ছিন্নভাবে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছে। ইরানের হুমকির বিরুদ্ধে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষায় পুরোপুরি সমর্থন রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র,’’ বলেছেন বাইডেন প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা।
সূত্র: রয়টার্স।