সামরিক জান্তা ও আরাকান আর্মির মধ্যে রাখাইন রাজ্যে যুদ্ধ বন্ধের উদ্যোগ নিয়ে মিয়ানমার সফর করেছেন চীনের একটি প্রতিনিধি দল। বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের কাছে এ তথ্য দিয়েছেন বেইজিংয়ের রাষ্ট্রদূত। তবে পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, যদি সামরিক শাসকগোষ্ঠী উল্লেখযোগ্য ছাড় না দেয় তাহলে রাখাইনে শান্তি আসবে না। এ খবর দিয়েছে অনলাইন রেডিও ফ্রি এশিয়া।
সামরিক বাহিনীর সঙ্গে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি নভেম্বরে ইতি ঘটায় জাতিগত বিদ্রোহী গ্রুপ আরাকান আর্মি। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে দেশটি নিয়ন্ত্রণ করছে সামরিক জান্তা। তখন থেকেই জাতিগত এই বিদ্রোহীরা সেনাবাহিনীকে ধারাবাহিকভাবে পরাজিত করে চলেছে। তারা সেনাদের কাছ থেকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে রাখাইনের পাকতোয়া, মিনবিয়া, মরাউক-ইউ, কাইউকতা, পেন্নাগিউন, মাইবোন, রাথেডাং এবং রামরি। এর মধ্যে পাকতোয়া হলো পাশের চিন রাজ্যের একটি শহর। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ৫ মাসের যুদ্ধে শুধু রাখাইনে নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ২০০ সাধারণ মানুষ। আহত হয়েছেন ৫ শতাধিক।
জাতিসংঘে নিযুক্ত চীনের ডেপুটি স্থায়ী প্রতিনিধি গেং শুয়াং বলেছেন, রাখাইনের পরিস্থিতি স্থিতিশীল করতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গঠনমূলক ভূমিকা পালন করতে চাইছে বেইজিং। তিনি নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে এ কথা বলেন। তিনি বলেন, মিয়ানমার সফরে এসেছিলেন চীনা একটি প্রতিনিধি দল। তবে তাদের নেতৃত্ব কে দিয়েছেন বা কাদের সঙ্গে তারা সাক্ষাৎ করেছেন, সে বিষয়ে কোনো বিস্তারিত তথ্য দেননি তিনি।
তবে সামরিকজান্তা পন্থি মিডিয়াগুলোর রিপোর্টে বলা হয়েছে, ১লা এপ্রিল মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডো সফরে এসেছিলেন চীনের এশিয়া সম্পর্ক বিষয়ক বিশেষ দূত ডেং সিজুন। তিনি সামরিক জান্তা সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। আলোচনা করেছেন নিরাপত্তা ইস্যু এবং অনলাইনে বিভিন্ন গ্যাংকের তৎপরতা সম্পর্কে। ইয়াঙ্গুনে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত চেন হাই সম্প্রতি সাবেক সামরিক জান্তা থান শ এবং অন্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ বিষয়টি শুক্রবার উইচ্যাটে দেয়া এক পোস্টে জানিয়েছে চীন দূতাবাস। শান শ-এর ডেপুটি ভাইস সিনিয়র জেনারেল মুয়াং আই, সাবেক প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন, মিয়ানমারের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ইউ নু-এর মেয়ে থান থান নু’র সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন চেন। ওই পোস্টে বলা হয়, মিয়ানমারে শান্তি ও পুনরেকত্রীকরণকে উৎসাহিত করতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করতে কাজ করছে বেইজিং।