ফিলিস্তিনের গাজায় ড্রোন হামলা চালিয়ে সাত ত্রাণকর্মীকে হত্যার ঘটনায় দুই জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছে ইসরায়েল। একই ঘটনায় আরও তিন কর্মকর্তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে তিরস্কার করা হয়েছে। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
বরখাস্ত হওয়া দুই সেনা কর্মকর্তা হলেন ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর কর্নেল পদমর্যাদার একজন ব্রিগেড চিফ অব স্টাফ এবং অন্যজন মেজর পদমর্যাদার ব্রিগেড ফায়ার সাপোর্ট অফিসার। এ ঘটনায় ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর দক্ষিণাঞ্চলীয় কমান্ডের প্রধানসহ আরও তিনজনকে তিরস্কার করা হয়।
গত সোমবার গাজার মধ্যাঞ্চলের দেইর আল–বালা এলাকায় ইসরায়েলের ড্রোন হামলায় সাহায্য সংস্থা ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনের (ডব্লিউসিকে) সাতজন ত্রাণকর্মী নিহত হন। এর মধ্যে ইসরায়েলের মিত্র দেশের নাগরিক থাকায় আন্তর্জাতিক চাপের মুখে এ ঘটনা নিয়ে তদন্তের পর শুক্রবার দুজন সেনা কমান্ডারকে বরখাস্ত করল ইসরায়েল। তদন্তে তাঁদের বিরুদ্ধে মারাত্মক ভুল ও বিধি লঙ্ঘনের প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েল।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর দাবি, গত সোমবার মধ্যরাতে ডব্লিউসিকের তিনটি গাড়ি নিশানা করে ভুলবশত ড্রোন হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এসব গাড়িতে হামাসের সশস্ত্র যোদ্ধা রয়েছেন ধারণা করে এ হামলা চালানো হয়। তবে এ ক্ষেত্রে যেসব বিধি মানার কথা তা মানা হয়নি।
বিবৃতিতে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলেছে, ত্রাণকর্মীদের বহনকারী গাড়িতে এ হামলা ছিল একটি মারাত্মক ভুল। ভুলভাবে পরিচয় শনাক্ত, সিদ্ধান্ত গ্রহণপ্রক্রিয়ায় গাফিলতি ও আদর্শ পরিচালন পদ্ধতি (এসওপি) না মেনে এ হামলা করা হয়।
ইসরায়েলের হামলায় নিহত সাত ত্রাণকর্মীর মধ্যে তিনজন ব্রিটিশ, একজন ফিলিস্তিনি, একজন অস্ট্রেলিয়া, একজন পোল্যান্ডের ও একজন যুক্তরাষ্ট্র–কানাডার দ্বৈত নাগরিক। ইসরায়েলের হামলায় ত্রাণকর্মী নিহত হওয়ার এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা। ইসরায়েলের মিত্র হিসেবে পরিচিত যুক্তরাষ্ট্রও এ হামলার কঠোর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।