খেলার সময় তখন ৩৭ মিনিটে, এমন সময় পেনাল্টি পেলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। তবে গোল আদায় করতে পারেননি, মিস হয়ে যায়। ভুলটা শুধরে নিতে অবশ্য দেরি করেননি। পেনাল্টি মিসের মাত্র তিন মিনিট পরই গোল করেন তিনি! পরে কিলিয়ান এমবাপ্পের সেই গোলকে পুঁজি করেই ফ্রেঞ্চ কাপের ফাইনালে উঠেছে পিএসজি।
৩৭ মিনিটে নিজেদের বক্সে এমবাপ্পেকে ফাউল করে পেনাল্টি হজম করেন রেঁনে সেন্টারব্যাক ওয়ার্মড ওমারি। কিন্তু পেনাল্টি থেকে এমবাপ্পের শট রুখে দেন রেঁনের ফরাসি গোলকিপার। চলতি মৌসুমে এ নিয়ে তৃতীয়বার পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হলেন এমবাপ্পে।
তিন মিনিট পর অবশ্য আর এমবাপ্পেকে ঠেকানো যায়নি। ফাবিয়েন রুইজের পাস পেয়ে শট নিয়েছিলেন এমবাপ্পে। বল ওমারির গায়ে লাগায় ‘রং ফুটেড’ হয়ে পড়েন মান্দান্দা এবং তাই আর ঠেকাতে পারেননি। বল ঢুকে পড়ে জালে। সেমিফাইনালে রেঁনের বিপক্ষে ১-০ গোলের এই জয়ে ফাইনালে উঠেছে লুইস এনরিকের দল। আগামী ২৫ এপ্রিল ফ্রেঞ্চ কাপের ফাইনালে পিএসজির প্রতিপক্ষ লিঁও।
গত মঙ্গলবার অপর সেমিফাইনালে ভ্যালেন্সিয়েসকে ৩-০ গোলে হারায় লিঁও। পিএসজি এই টুর্নামেন্টে রেকর্ড ১৪বার শিরোপা জিতেছে।
ফাইনালে ওঠার পর পিএসজি কোচ এনরিকে বলেছেন, ‘ভালো লাগছে। এ মৌসুমে ফ্রেঞ্চ কাপ আমাদের অন্যতম লক্ষ্য ছিল। ফাইনালটা জিততে পারলে সেটি সবার জন্যই সন্তুষ্টির হবে।’
চ্যাম্পিয়নস লিগ কোয়ার্টার ফাইনাল প্রথম লেগে আগামী সপ্তাহে বার্সেলোনার মুখোমুখি হবে পিএসজি।