ইসরায়েলি পাসপোর্টধারী এক ব্যক্তিকে আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহ করেছেন সন্দেহে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে মালয়েশিয়ার কর্তৃপক্ষ। দেশটির রাজধানী কুয়ালালামপুরের একটি হোটেলে অভিযান চালিয়ে চলতি সপ্তাহে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে শনিবার পুলিশ জানিয়েছে।
মালয়েশিয়ার পুলিশের মহাপরিদর্শক রাজারুদিন হুসাইন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, গত ১২ মার্চ সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান ইসরায়েলি পাসপোর্টধারী ওই ব্যক্তি। তার কাছ থেকে ছয়টি পিস্তল ও ২০০ বুলেট উদ্ধার করা হয়েছে। ভুয়া ফরাসি পাসপোর্ট ব্যবহার করে তিনি মালয়েশিয়া ভ্রমণ করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের সময় ওই ব্যক্তি তার ইসরায়েলি পাসপোর্ট হস্তান্তর করেছেন। মালয়েশিয়ায় পৌঁছানোর পর তিনি অস্ত্রগুলোর অর্ডার দেন এবং ক্রিপ্টোকারেন্সিতে সেগুলোর মূল্য পরিশোধ করেন।
এই বিষয়ে মন্তব্য জানতে ই-মেইল করা হলেও সিঙ্গাপুরে নিযুক্ত ইসরায়েলি দূতাবাস তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স। মালয়েশিয়া ও ইসরায়েলের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই।
সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তি ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য হতে পারে, এমন সম্ভাবনা নাকচ করেনি মালয়েশিয়ার পুলিশ। যদিও সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তি মালয়েশীয় কর্তৃপক্ষকে বলেছেন, পারিবারিক বিরোধের কারণে অন্য এক ইসরায়েলি নাগরিকের খোঁজে মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করেছেন তিনি।
রাজারুদিন বলেছেন, ‘‘আমরা এই বক্তব্য পুরোপুরি বিশ্বাস করি না। কারণ এর পেছনে তার অন্য কোনও অ্যাজেন্ডা রয়েছে বলে আমরা সন্দেহ করছি। মালয়েশিয়ায় তিনি কয়েকটি হোটেলে অবস্থান করেছেন।’’
শনিবার রয়টার্সকে তিনি বলেছেন, ‘‘শুক্রবার এক বিবাহিত দম্পতিসহ তিন মালয়েশিয়ানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ইসরায়েলি ওই ব্যক্তিকে অস্ত্র সরবরাহ ও তার চালক হিসেবে কাজ করেছেন সন্দেহে তাদের সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।’’ ওই দম্পতির গাড়ি থেকেও একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে।