কয়েকদিন আগেই রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর ক্রোকাস সিটি কনসার্ট হলে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ১৩৭ জন নিহত হন এবং এই হামলাটিকে গত ২০ বছরের মধ্যে রাশিয়ায় সবচেয়ে বড় হামলা বলে মনে করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
শুক্রবারের সেই হামলার ঘটনায় এগারো জনকে আটক করা হয়েছে। হামলায় সময় ছদ্মবেশী বন্দুকধারীরা মস্কোর ক্রোকাস সিটি হলে ঢুকে পড়ে এবং কনসার্ট-অনুষ্ঠানকারীদের ওপর গুলিবর্ষণ শুরু করে। পরে তারা ভবনে আগুনও ধরিয়ে দেয়। এতে অন্তত ১৩৭ জন নিহত হয়েছেন।
এসময় ইউক্রেনের কথা উল্লেখ করে পুতিন বলেন, ‘এই নৃশংসতার সঙ্গে হয়তো তাদের একটি যোগসূত্র থাকতে পারে যারা ২০১৪ সাল থেকে আমাদের দেশের সাথে যুদ্ধ করে আসছে।’
পুতিন প্রশ্ন করেন, ‘অবশ্যই, এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া দরকার, ‘কেন অপরাধ করার পরে সন্ত্রাসীরা ইউক্রেনে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল?’ সেখানে তাদের জন্য কে অপেক্ষা করছিল?’
পুতিন অবশ্য তার বক্তব্যে আইএসআইএল (আইএসআইএস) এর সহযোগীদের কথা উল্লেখ করেননি। যদিও তারাই মস্কোতে হামলার দায় স্বীকার করেছে।
আইএসআইএল এর সহযোগী আইএসআইএস-কে এই হামলার দায় স্বীকার করার পর যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দারাও তাদের সেই দাবি সমর্থন করে। পরে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁও বলেছেন, ফ্রান্সের কাছে গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে যাতে দেখা যাচ্ছে, ‘আইএসআইএল একটি অংশ’ এই হামলার জন্য দায়ী।’
এর আগে সোমবার ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ হামলার জন্য কাউকে দোষ দিতে অস্বীকার করেন এবং রাশিয়ায় তদন্তের ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করার জন্য সাংবাদিকদের আহ্বান জানান।
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র গত ৭ মার্চ মস্কোর কর্তৃপক্ষকে সম্ভাব্য হামলার বিষয়ে সতর্ক করেছিল বলে যে খবর বের হয়েছে সে বিষয়েও দিমিত্রি পেসকভ মন্তব্য করতে রাজি হননি। এই ধরনের যে কোনো গোয়েন্দা তথ্য গোপনীয় বলেও জানান তিনি।