পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশে যখন বন্যা হয় তখন ড. ইউনুসকে দেখা যায় না। দেশে যখন মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করা হয়, তখন তার (ড.ইউনুস) কোনো বক্তব্য শোনা যায় না। দেশে যখন কোনও দুর্যোগ হয়, তখন তিনি (ড.ইউনুস) বিদেশে ব্যস্ত থাকেন পুরস্কার নেওয়ার জন্য। পৃথিবীতে যত ধরনের পুরস্কার আছে সব জায়গায় তার লবিস্টরা যোগাযোগ করে সেটি নিয়ে আসে। যাকে (ড. ইউনুস) দেশের কোনো কাজে পাওয়া যায় না, তাকে যে এরকম পুরস্কার দিয়ে বেড়ায় এটি অত্যন্ত হাস্যকর।
ড. হাছান মাহমুদ বিএনপির উদ্দেশে বলেন, দেশের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিল। যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায়নি, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধাচরণ করেছে, তারাই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। আজকে দেশ যখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে, সমগ্র পৃথিবী যখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করছে, তখনই বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সেই অপশক্তি আবারও দেশের উন্নয়ন, অগ্রগতিকে ভেস্তে দেওয়ার চেষ্টা করছে। দেশকে পেছনে নিয়ে যাওয়ার জন্য ষড়যন্ত্র করছে। এজন্য তারা (বিএনপি) ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ’ বলে স্লোগান দেয়। অর্থাৎ, তারা (বিএনপি) বাংলাদেশকে পেছনে নিয়ে যেতে চাচ্ছে।
আ.লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি এবং জামায়াত নির্বাচনকে ভণ্ডুল করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু তাদের (বিএনপি-জামায়াত) সেই অপচেষ্টা ভেস্তে গেছে। দেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং আন্তর্জাতিক মানের উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সে কারণে পৃথিবীর ৮০টি রাষ্ট্রপ্রধান শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও শেখ হাসিনাকে চিঠি লিখে অভিনন্দন জানিয়েছে। পৃথিবীর ৩২টি আন্তর্জাতিক সংস্থা শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে।
সবুজবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লায়ন চিত্ত রঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে এবং বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাদাত হোসেন টয়েলের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, সাংস্কৃতিক প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান, আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার প্রমুখ।