বিপুল ভোটে জয়লাভ করে ফের রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিন। আর টানা পঞ্চমবার দেশের মসনদে বসেই নাকি চীন সফরের পরিকল্পনা করে ফেলেছেন তিনি। রয়টার্স সূত্রে মিলেছে এমনই খবর। এদিকে পুতিনের এই পদক্ষেপে উদ্বেগে ভারত। কারণ রাশিয়ার সঙ্গে বন্ধুত্ব মজবুত করে বেল্ট অ্যান্ড রোড প্রকল্পের জাল আরও ছড়ানোর পরিকল্পনা করতে পারে চীন। ফলে গোটা বিষয়ের উপর তীক্ষ্ণ নজর রাখবে নয়াদিল্লি।
মনে করা হচ্ছে, ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা হতে পারে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে। রণক্ষেত্রে লড়াই আরও জোরদার করতে বেইজিংয়ের থেকেও সাহায্য চাইতে পারেন পুতিন। এর আগে আমেরিকাকে চাপে ফেলতে উত্তর কোরিয়া ও চীনের সঙ্গে যৌথ নৌ-মহড়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছিল রাশিয়া। কারণ যুদ্ধের ময়দানে মস্কোর উপর চাপ বাড়াচ্ছে হোয়াইট হাউস। অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে কিয়েভকে সাহায্য করছে ওয়াশিংটন। এই প্রেক্ষিতে আমেরিকা-বিরোধী দেশগুলোর সঙ্গে জোটবদ্ধ হতে চাইছেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
অন্যদিকে, গোটা ঘটনা প্রবাহের উপর নজর রাখছে ভারতও। ভারত বরাবর এই প্রকল্পের বিরোধিতা করে এসেছে। কারণ, চীনা প্রকল্পের একটি অংশ গিয়েছে আজাদ কাশ্মীরের উপর দিয়ে। ফলে দিল্লির বন্ধু মস্কো এই প্রকল্পে কতটা বেইজিংকে সাহায্য করে সেদিকেই নজর ওয়াকিবহাল মহলের। বলে রাখা ভালো, চীনের সঙ্গে সীমান্ত সংঘাত নিয়ে ভারতকে শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করার পরামর্শ দিয়েছে রাশিয়া। ফলে ভবিষ্যতে কোনও দিন যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হলে কয়েক দশকের বন্ধুকে পাশে পাবে কিনা দিল্লি উঠছে সেই প্রশ্নও।