গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেছেন, গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে হামলা প্রমাণ করে এক অজানা আতঙ্ক সরকারকে তাড়া করে ফিরছে। সে কারণে হামলা-মামলা, গ্রেপ্তার এবং গুম-খুনের আতঙ্ক ছড়িয়ে দিয়ে সরকার নিজেদের ভয় কাটানোর চেষ্টা করছে।
আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা। নাগরিক ঐক্যের সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব আনোয়ারকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার প্রতিবাদ এবং রাজনৈতিক দমন-পীড়ন বন্ধের দাবিতে এ কর্মসূচির আয়োজন করে গণতন্ত্র মঞ্চ।
গত সোমবার রাজধানীর খামারবাড়ি এলাকায় নাগরিক ঐক্যের ‘গণতন্ত্রের পক্ষে গণস্বাক্ষর’ কর্মসূচিতে সাকিবের ওপর হামলা হয়। ওই হামলায় ছাত্রলীগ জড়িত বলে অভিযোগ করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ।
এদিকে আজ দুপুরে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা ১২–দলীয় জোটের ‘ভারত বর্জন’ মিছিলে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেন, সরকার সর্বত্র ভয়-ত্রাস আর দমন–পীড়ন করে মানুষের কণ্ঠ রোধ করতে চাইছে। অতীতের স্বৈরাচাররাও এ পথে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে চেয়েছিল। শেষ পর্যন্ত পার পায়নি।
সমাবেশে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা অভিযোগ করেন, বাজার নিয়ন্ত্রণের হাঁকডাক সত্ত্বেও নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতি রোধে সরকার সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ। বাজার নিয়ন্ত্রণের কোনো পদক্ষেপ কাজ করছে না, এটা এখন সরকার স্বীকার করছে। নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে সরকার এখন বিরোধী দলের ওপর দোষ চাপাচ্ছে।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্যসচিব হাবিবুর রহমান প্রমুখ।
সমাবেশ সঞ্চালনা করেন জেএসডির সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল্লাহ আল তারেক। সমাবেশ শেষে মিছিল করেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা।
সমাবেশ থেকে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। নতুন কর্মসূচির অংশ হিসেবে ২৮ ফেব্রুয়ারি বেলা সাড়ে ১১টায় সচিবালয় অভিমুখে বিক্ষোভ করবে গণতন্ত্র মঞ্চ। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, ব্যাংক লোপাট ও অর্থ পাচারের প্রতিবাদে এ কর্মসূচি ডাকা হয়েছে।
