আন্তর্জাতিক উদ্যোক্তা প্রতিযোগিতা হাল্ট প্রাইজ অন-ক্যাম্পাস রাউন্ড ২০২৪-২৫ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে আর্মি ইন্সটিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আর্মি আইবিএ) ক্যাম্পাসেই। বিশ্বের অন্যতম স্বনামধন্য এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী দলগুলো তাদের উদ্ভাবনী ব্যবসায়িক ধারণা উপস্থাপন করে বিচারকদের সামনে। প্রতিযোগিতাটির টাইটেল স্পন্সর ছিল লাক্স বাংলাদেশ (Luxe Bangladesh), যা তরুণ উদ্যোক্তাদের সৃজনশীল উদ্যোগ বাস্তবায়নের অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে।
গ্র্যান্ড ফিনালের বিচারক প্যানেলে ছিলেন দেশের কর্পোরেট ও ব্যবসায় খাতের অভিজ্ঞ ব্যক্তিরা। এ এস এম শাহরিয়ার হোসেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট (Vice President), এএমএল ও সিএফটি (AML & CFT), এক্সটার্নাল অ্যান্ড কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স ডিভিশন (External & Corporate Affairs Division) – বিকাশ (bKash), শাহরিয়ার দস্তগীর, সিনিয়র ম্যানেজার (Senior Manager), বিক্রয় (Sales) – ডোরিন (Doreen), এবং গোলাম নাসের জিলানী, সিনিয়র ম্যানেজার (Senior Manager), গবেষণা ও উন্নয়ন (Research & Development) – এসকিউ এগ্রিকালচার লিমিটেড (SQ Agriculture Ltd.)—তারা প্রতিযোগীদের প্রকল্প মূল্যায়ন করেন ও মূল্যবান পরামর্শ প্রদান করেন।
প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে ৯টি সেমিফাইনালিস্ট দলের মধ্য থেকে ৫টি দল ফাইনালে জায়গা করে নেয়। গ্রিনডাই (GREENDYE) দল চ্যাম্পিয়নের শিরোপা অর্জন করে, প্রথম রানার-আপ হয় গ্রীলিয়াম (GREELEUM), এবং দ্বিতীয় রানার-আপ হিসেবে নির্বাচিত হয় বানাপেস (BANAPACE)। বিজয়ী দলগুলোর (Winning Teams) উদ্ভাবনী ধারণা ও উদ্যোক্তা মানসিকতা বিচারকদের মুগ্ধ করে। চ্যাম্পিয়ন দল পুরস্কার হিসেবে ৫,০০০ টাকা, প্রথম রানার-আপ ৩,০০০ টাকা এবং দ্বিতীয় রানার-আপ ২,০০০ টাকা লাভ করে। একেবল এখন পুরো যাত্রার এক ধাপ শেষ করলো।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আর্মি আইবিএ-এর পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ বি এম শেফাউল কবীর, এসজিপি, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি (এলপিআর)। তিনি বলেন, “তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য এমন প্রতিযোগিতাগুলো তাদের সৃজনশীল চিন্তাভাবনা ও সমস্যা সমাধানের দক্ষতাকে আরও বিকশিত করবে।”
এই আয়োজন বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে একাধিক প্রতিষ্ঠান। লাক্স বাংলাদেশ (টাইটেল স্পনসর), একে স্টীল (অ্যাসোসিয়েশন পার্টনার), ফটো টিউন্ড (ফটোগ্রাফি পার্টনার), ৯৫.২ এফএম (রেডিও পার্টনার), যাগো টুডে (নিউজ পার্টনার), অলেয়েন এআই (লার্নিং পার্টনার), স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার – আনবোল্ট একাডেমি এবং কাপস কেকারি (ফুড পার্টনার) এই আয়োজনকে সফল করতে সহযোগিতা করেছে।
মূলত এই হাল্ট শুধুমাত্র একটি প্রতিযোগিতা নয়, বরং এটি ছিল একটি অনুপ্রেরণার গল্প। তরুণদের উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনা, টিমওয়ার্ক এবং বাস্তবায়নের সক্ষমতা প্রমাণ করেছে যে আগামী দিনের উদ্যোক্তারা বাংলাদেশের অর্থনীতিকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে ইতিমধ্যেই প্রস্তুত।