উচ্চমূল্যে ভারতের আদানি গ্রুপ থেকে বিদ্যুৎ কিনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরীরা লাভবান হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে তৌফিক-ই-ইলাহীর রিমান্ড আদেশের পর সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ তুলেনে তিনি।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, ‘গত ১৫ বছরে দেশের বিদুৎ ও জ্বালানি খাতের ধ্বংসকারী তারা। যাদের এই খাতে কোনো অভিজ্ঞতা নেই, তাদেরও কুইক রেন্টাল দিয়ে দেশের হাজার কোটি টাকা লোপাট করেছেন তিনি। তারা গোপনে বিদ্যুৎ বিলের নামে মানুষের কাছ থেকে অর্থ চুরিও করেছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সুমন শিকদার হত্যার ঘটনায় বাড্ডা থানায় মামলা হয়েছে। সেই মামলায় তৌফিক-ই-ইলাহীকে সাসপেক্টেড আসামি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পাওয়া গেছে, আসামি হত্যার সঙ্গে জড়িত তিনি। আর কে কে জড়িত রয়েছে, সেই তথ্যের জন্য তার রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। পরে বয়স বিবেচনায় আদালত তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
তবে সুমন হত্যার সঙ্গে সাবেক বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টার কোনো সম্পৃক্ততা নেই দাবি করে আসামিপক্ষের আইনজীবী মোরশেদ হোসেন শাহীন বলেন, ‘বাংলাদেশের বিদ্যুতের অগ্রগতি তার হাত ধরেই হয়েছে। দেশের বিদ্যুতের ঘাটতি পূরণ করে রফতানিমুখী করেছেন তৌফিক-ই-ইলাহী।
তিনি আরও বলেন, ‘বাড্ডা থানায় মামলার এজাহারে তৌফিক-ই-ইলাহীর কোনো নাম নেই। তিনি সাসপেক্টেড আসামি। ২৫০ জনের মধ্যে তার কোনো নাম নেই। তিনি একজন উচ্চশিক্ষিত এবং মুক্তিযোদ্ধা। দেশের শীর্ষ কর্মকর্তাও ছিলেন। শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণেই তার বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে এবং রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। আমরা জামিন আবেদন করলেও বাতিল হয়েছে। বয়স্ক বিবেচনায় তার চার দিন রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।