পুতিনের হাত ধরছেন তিন শক্তিধর নেতা
বিশ্বে চলছে ক্ষমতার নতুন সমীকরণ। পালা বদলের গান শোনাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের সিংহ ইরান। সাথে আছে ইসলামী প্রতিরোধ শক্তি হামাস,হিজবুল্লাহ এবং হুথি। অন্যদিকে মাইটি রাশিয়া। ভ্লাদিমির পুতিন বাঘের মতো গর্জনে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন সম্মিলিত পশ্চিমা শক্তির বিরুদ্ধে।
আরেকদিকে তুরস্কের নতুন সুলতান রিস্যেপ তায়েপ এরদোয়ান্ যিনি সব সময়ই মুসলিম এবং নিপীড়িত শক্তির পক্ষে কথা বলে যান ক্রমগত। এবং সিরিয়ার বাশার আল আসাদ। যিদি আইসএসসহ উগ্রবাদী শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করে এখনও সিরিয়ার ক্ষমতা নিজের হাতে রেখেছেন।
অবশেষে সবাই হচ্ছেন এক। সম্ভবত নতুন এক শক্তির আবির্ভাব দেখতে যাচ্ছে পুরো বিশ্ব। এক টেবিলে বসছে রাশিয়া, ইরান, তুরস্ক এবং সিরিয়া। আঙ্কারা এবং দামেস্কের সম্পর্ক মেরামতের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে সম্মেলনের পরিকল্পনা করছে দেশগুলো।
এ সম্মেলনে কি ধরনের সিদ্ধান্ত আসবে তা এখনো জানা না গেলেও রাশিয়া, ইরান,তুরস্ক এবং সিরিয়া যেখানে এক হচ্ছে তা বোঝাই যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা শক্তির বিপক্ষেই পদক্ষেপ কঠিন পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে এ চারটি শক্তি। সামরিক দিক থেকেই সহযোগিতা জোরদার করতে যাচ্ছে দেশ চারটি।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ জানিয়েছেন, তুরস্ক এবং দামেস্কের মধ্যে সম্পর্ক ঠিকঠাক করতে এই সম্মেলনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। রুশ গণমাধ্যম আরটিকে দেয়া সাক্ষাতকারে ল্যাভরভ বলেন, আমরা আরেকটি বৈঠকের প্রস্তুতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। যা অদূর ভবিষ্যতে হবে। দামেস্ক এবং আঙ্কারায় আমাদের অংশীদারদের সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে আগ্রহী বলেও জানান ল্যাভরভ।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২০২৩ সালের রাশিয়া-ইরান-তুরস্ক-সিরিয়া শীর্ষ বৈঠকটি ফলপ্রসু ছিলো। যদিও পরবর্তী পদক্ষেপের ব্যাপারে একমত হতে পারেনি পক্ষগুলো। তিনি আরও বলেন, সিরিয়া থেকে তুর্কি সৈন্যদের শেষ পর্যন্ত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়া হলেই এই প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখা যেতে পারে বলে মনে করছে দেশটি। আর এজন্য প্রস্তুত আছে তুরস্কও।
তবে এখনও পর্যন্ত নির্দিষ্ট শর্তে একমত হওয়া সম্ভব হয়নি। ল্যাভরভ আরও বলেছেন, আমরা উদ্বাস্তুদের প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে কথা বলছি এবং সন্ত্রাসী হুমকি দমনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে কথা বলছি। পাশাপাশি দামেস্ক এবং সিরিয়ার কুর্দিদের মধ্যে আলোচনার ব্যাপারেও আশাবাদী ল্যাভরভ।
সিরিয়া-তুরস্ক বৈঠকের জন্য জরুরিভিত্তিতে এবং আন্তরিকতার সাথে প্রস্তুতি প্রয়োজন বলে জানিয়েছে রাশিয়া। আলোচনা প্রক্রিয়ার অগ্রগতির জন্যে সিরিয় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ এবং তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগানের মধ্যে একটি সম্ভাব্য বৈঠকের প্রস্তুতির গুরুত্বের ওপর জোর দিচ্ছে মস্কো।
মাশালসহ শীর্ষ হামাস নেতাদের শিগগিরই হত্যা করা হবে: ইসরাইলমাশালসহ শীর্ষ হামাস নেতাদের শিগগিরই হত্যা করা হবে: ইসরাইল
এই বৈঠক রাশিয়ার মাটিতে হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এই বিষয়ে ইরান ও ইরাকিদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে দেশটি। ইরান ও ইরাকও সিরিয়া ও তুরস্কের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে খুবই আগ্রহী, যেটি সিরিয়া এবং এর আশেপাশের সার্বিক পরিস্থিতির ওপর ফেলতে পারে ইতিবাচক প্রভাব।
গেল আগস্টের শুরুতে একটি তৃতীয় দেশে সিরিয়া ও তুরস্কের নেতাদের মধ্যে একটি শীর্ষ সম্মেলন হতে পারে বলে জানিয়েছিলেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান ।