আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটরসহ ১৩ জন প্রসিকিউটর পদত্যাগ করেছেন। দাখিলের তারিখ থেকে সরকার তাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছে বলে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সলিসিটর অনুবিভাগ গত ১৮ অগাস্ট এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে। পদত্যাগকারী ১৩ জন হলেন- চিফ প্রসিকিউটর (দায়িত্বরত) সৈয়দ হায়দার আলী, প্রসিকিউটর রেজাউর রহমান, রানা দাশগুপ্ত, মো. মোখলেসুর রহমান বাদল, আলতাফ উদ্দিন আহমেদ, মো. সুলতান মাহমুদ, মো. সাহিদুর রহমান, আবুল কালাম, তাপস কান্তি বল, রেজিয়া সুলতানা বেগম, শেখ মুশফেক কবীর, মো. জাহিদ ইমাম ও সাবিনা ইয়াসমিন খান।
স্বাধীনতার ৩৯ বছর পর মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়; আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় ২০১০ সালের ২৫ মার্চ। ২০১২ সালের ২২ মার্চ ট্রাইব্যুনাল-২ নামে আরেকটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। ২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর দুটিকে একীভূত করে আবার একটি ট্রাইব্যুনাল করা হয়। এখন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ নামে একটি ট্রাইব্যুনালে বিচারকাজ চলছে। এ আদালত থেকে এ পর্যন্ত ৫১ মামলার রায় এসেছে; দণ্ডিত ১৩১ আসামির মধ্যে ৯১ জনকে দেওয়া হয়েছে মৃত্যুদণ্ড।
এ ট্রাইব্যুনালের রায়ের পর চূড়ান্ত বিচার শেষে জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ, মীর কাসেম আলী, মুহাম্মাদ কামারুজ্জামান, আবদুল কাদের মোল্লা ও বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসি কার্যকর হয় পরের কয়েক বছরে।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এখন সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মত ট্রাইব্যুনালেও পরিবর্তনের হাওয়া বইছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় কয়েকশ মৃত্যুর ঘটনাকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে বিবেচনা করে ক্ষমতাচ্যুত সরকারের প্রধানমন্ত্রীসহ জড়িতদের বিচারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এই ট্রাইব্যুনালে। ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ কয়েক ডজন মানুষের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে অভিযোগও জমা পড়েছে।
ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান অবসরে গেছেন, একজন বিচারক হাই কোর্টে ফিরে গেছেন এবং সব প্রসিকিউটর পদত্যাগ করেছেন। শিগগিরই ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করা হবে বলে অন্তর্বর্তী সরকারের আইন বিচার ও সংসদ