ফরিদপুরের মধুখালীতে মন্দিরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ তুলে দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার। শুক্রবার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি ওই ঘটনায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ততার কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, মধুখালীর ডুমাইন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শাহ্ আসাদুজ্জামান ও ইউপি সদস্য অজিত কুমার বিশ্বাস জনপ্রতিনিধি হিসেবে জনগণকে নিরাপত্তা দেওয়ার শপথ করে নির্মাণশ্রমিকদের হত্যার কাজে অংশ নিয়েছেন। শ্রমিকদের মারপিটের শুরুটা চেয়ারম্যান করেন। পরে আবার ওসি (থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা), ইউএনওকে (উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা) সঙ্গে নিয়ে তিনিই উদ্ধার অভিযানে যান।
জেলা প্রশাসক বলেন, এ–সংক্রান্ত দুটি ভিডিও ক্লিপ প্রকাশের আগে আমরা বিষয়টি জানতে পারিনি। ওই ভিডিও প্রকাশের পর তিনি (চেয়ারম্যান) ও ইউপি সদস্য পালিয়ে গেছেন। তাদের গ্রেপ্তারের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করা হচ্ছে। ইউপি চেয়ারম্যান মুঠোফোন সঙ্গে নেননি। এ জন্য তাকে গ্রেপ্তার করতে বেগ পেতে হচ্ছে।
পুলিশ একবার মাগুরা ও আরেকবার যশোরের খুব কাছাকাছি গিয়েও তাঁকে ধরতে পারেনি।
প্রসঙ্গত ইউপি চেয়ারম্যানের সম্পৃক্ততার বিষয়ে মানবজমিনে প্রথম রিপোর্ট প্রকাশিত হয়।