তীব্র গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। সারাদেশের মতো তাপপ্রবাহে দিশেহারা চুনারুঘাটের মানুষ। গরমের কারণে এরইমধ্যে অনেকে আক্রান্ত হচ্ছেন জ্বর, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায়। যাদের মধ্যে শিশুর সংখ্যাই বেশি।
শনিবার পর্যন্ত চুনারুঘাট হাসপাতালে রেকর্ড পরিমাণ রোগী ভর্তি হয়েছেন। এরমধ্যে জ্বর, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বেশি। ৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে শয্যা সংকটের কারণে অনেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন হাসপাতালের মেঝেতে। আবার অনেক রোগীর ঠাঁই মিলেছে হাসপাতালের বারান্দায়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হোসেন বলেন, অতিরিক্ত গরমে প্রচুর পরিমানে বিশুদ্ধ পানি, ডাবের পানি ও স্যালাইন পান করতে হবে। শিশুদের অতিরিক্ত গরমে বাইরে চলাচল করতে দেওয়া অনুচিত। তৃষ্ণা মেটাতে বেশি ঠান্ডা পানি পান করা থেকে বিরত থাকতে হবে। আবার অনেকেই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরী করা খাবার খেয়ে আমাশয় ও ডায়রিয়ার মতো আক্রান্ত হচ্ছেন। এমন আবহাওয়ায় সেটা মারত্মক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তাই অস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকার কথাও জানিয়েছেন এই চিকিৎসক।
একটি সূত্র জানায়, হাসপাতালে কর্মরত সবাইকে জনস্বার্থে যার যার অবস্থান থেকে স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক বার্তা মানুষের মাঝে পৌঁছে দিতে বলা হয়েছে। গ্রামের মানুষ যেন সচেতন থাকতে পারে সেজন্যই এমন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে ঈদ ও বৈশাখের ছুটির পর আজ রোববার থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে সে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে ছুটি বাড়ানো হয়েছে আরো ৭ দিন। এ তথ্য নিশ্চিত করে চুনারুঘাট সদর স্কুলের প্রধান শিক্ষিক আমিনুল ইসলাম জানান, উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন জায়গায় তীব্র ও অধিকাংশ জায়গায় মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিবেচনা করে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৭ দিনের ছুটি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।